বিশেষ প্রতিবেদক: পর্যটন নগরী কক্সবাজার এখন সিসিটিভি’র আওতায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৬৪টি অত্যাধুনিক ক্যামেরার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে দিন রাত সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শনিবার দুপুরে এই প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা ছিল। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় তাঁর পক্ষে সিসিটিভি কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন জানান- পর্যটন শহর কক্সবাজারের প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসব স্থানে বর্তমানে ৬৪টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের ৯ জন সদস্য পালা করে প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ সুপার বলেন- এখন সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই পুরো শহরের উপর নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ব্যাবস্থার মাধ্যমে সনাক্ত করে কয়েক জন ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। ছিনতাইকালে উদ্ধার হয়েছে অন্তত এক ডজন মটর সাইকেল। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় যানজট হলে সিসিটিভির মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করে তাৎক্ষনিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান- পর্যায়ক্রমে শহর এবং আশে পাশের আরো কিছু এলাকাকে সিসিটিভির আওতায় আনা সম্ভব হলে পর্যটক সহ শহরবাসীর নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পদাক এবং কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমূখ।
উল্লেখ্য কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন এর উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির দেয়া অনুদানের অর্থে কক্সবাজার শহরে এই সিসিটিভি প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইউএনইচসিআর সহ বিভিন্ন ব্যাংকও এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
প্রকল্পের কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে চীনের প্রতিষ্টান ‘সিডনী সান’ এবং কক্সবাজারের একটি প্রতিষ্ঠান ‘আইটি নেক্স্ট’।
পাঠকের মতামত: